দাঁতের গর্তে কোন ফিলিং ভালো এবং খরচ কেমন বিস্তারিত জানুন
দাঁতের গর্তে ফিলিং
দাঁতের ফিলিং (Tooth Filling)
হলো একটি ডেন্টাল প্রক্রিয়া যেখানে দাঁতের ক্ষতিগ্রস্ত বা ক্যাভিটি হয়ে যাওয়া অংশ পরিষ্কার করে, সেই জায়গায় একটি উপাদান দিয়ে পূরণ করা হয়, যাতে দাঁতটির স্বাভাবিক গঠন ও কার্যকারিতা বজায় থাকে।
দাঁতের ফিলিংয়ের বিভিন্ন ধরনের উপাদান ও তাদের বৈশিষ্ট্যঃ
✅ কম্পোজিট ফিলিং (Composite Resin Filling)
সবচেয়ে বেস্ট সবদিক থেকে
কম্পোজিট ফিলিং
উপাদান: প্লাস্টিক ও কাচের মিশ্রণ।
রঙ: দাঁতের কালার এর সাথে ২০০% ম্যাচিং
সময় : ১-৪ বছর (সচেতন ব্যবহারে আরও বেশি হতে পারে)।
খরচঃ ১৫০০-৫০০০ টাকা প্রতি ক্যাভিটি ( মেটেরিয়ালস এর কোয়ালিটি, কালার ম্যাচিং, ডিউরেবিলিটি, এবং ডক্টরের দক্ষতা অনুযায়ী খরচ কম বেশি হতে পারে)
সুবিধা:
✅রঙঃ দাঁতের সঙ্গে মিলে যায়।
✅সামনের দাঁতের জন্য উপযুক্ত তবে সৌন্দর্য বর্ধনে যেকোনো দাঁতেই করা যেতে পারে,,
✅গ্লাস আয়োনোমার ফিলিং (Glass Ionomer Filling)
গ্লাস আইনোমার ফিলিং
উপাদান: অ্যাক্রেলিক এবং গ্লাসের মিশ্রণ।
রঙ: দাঁতের মতো, কিন্তু কম উজ্জ্বল।
সময়: ৬মাস থেকে ১ বছর বা তার বেশী
খরচঃ ১০০০-১৫০০ টাকা প্রতি ক্যাভিটি
সুবিধা:
✅ফ্লোরাইড রিলিজ করে, যা দাঁতকে আরও সুরক্ষা দেয়।
✅শিশুদের দাঁতের জন্য ভালো।
অসুবিধা:
☑️শক্তিশালী নয়, সহজে ক্ষয় হয়।
✅অ্যামালগাম ফিলিং (Amalgam Filling)
সিলভার অ্যামালগাম ফিলিং
উপাদান: সিলভার, টিন, পারদ, কপার ইত্যাদির মিশ্রণ।
রঙ: রূপালি।
খরচঃ ৮০০-১৫০০ টাকা প্রতি ক্যাভিটি
সময়: ১০-১৫ বছর বা তারও বেশি।
সুবিধা:
✅শক্ত ও টেকসই।
✅পেছনের দাঁতের জন্য ভালো (যেখানে চর্বি বেশি হয়)।
অসুবিধা:
☑️রঙ দাঁতের সঙ্গে মেলে না।
☑️পারদ থাকা নিয়ে কিছু বিতর্ক আছে
☑️চোখে গ্লুকোমা ও ক্যান্সারের জন্য দায়ী হতে পারে।
✅গোল্ড ফিলিং (Gold Filling/Inlay/Onlay)
গোল্ড ফিলিং
উপাদান: সোনার সংকর ধাতু।
রঙ: সোনালি।
সময়: ১৫-৩০ বছর।
খরচঃ ১৫০০০-৩০০০০ টাকা
সুবিধা:
✅সবচেয়ে টেকসই।
অসুবিধা:
☑️খুব ব্যয়বহুল।
☑️রঙ খুব আলাদা হওয়ায় অনেকেই চায় না।
ফিলিং বিষয়ক কিছু সাধারন প্রশ্ন ও উত্তর
উল্লেখ্য: এই তথ্যগুলো কেবলমাত্র সাধারণ জ্ঞানের জন্য। আপনার জন্য কোন ধরণের ফিলিং উপযুক্ত তা নির্ধারণ করার জন্য একজন দাঁতের ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ।